দিনাজপুরের পার্বতীপুরে এক তরুণীকে (২০) ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখিয়ে প্রায় দেড় বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিল এক যুবক। মঙ্গলবার (১৮ মে) ‘বিকেল ৩টার দিকে দ্রুত বিয়ে করে ঘরে তোলার জন্য চাপ দিতে ওই যুবকের বাড়িতে যান ওই তরুণী।
অ’ভিযুক্ত ইমর’ান ইমন (২২) উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের পূর্ব হুগলীপাড়া গ্রামের আবু তালেবের ছেলে।
এদিকে বিয়ের প্রস্তাবে ক্ষু’ব্ধ হয়ে ইমন ও তার বাবা আবু তালেব (৫০) মিলে তাকে বেদম পে’টান। মা’রপিট ও নি’র্যা’তনে র’ক্তাক্ত ওই তরুণীকে পরে বাবা-ছেলে মিলে চ্যাংদোলা করে পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদের উত্তর গেটে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
এ সময় স্থানীয় পশ্চিম হুগলীপাড়া গ্রামের গৃহবধূ রেহানা বেগম তাকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শাফিকে সংবাদ দেন। পরে তারা চিকিৎসার জন্য পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানান, পার্বতীপুর পৌর শহরের রোস্তমনগর মহল্লার বাসি’ন্দা ওই তরুণী পার্বতীপুর মুক্তিযো’দ্ধা কমপ্লেক্সের একটি দোকানে ‘বিক্রয়কর্মী হিসেবে চাকরি করছিলেন। প্রায় বছর-খানেক আগে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের পূর্ব হুগলীপাড়া গ্রামের বেকার যুবক ইমনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই থেকে তার প্রতিমাসের বেতনের টাকা তিনি পুরোটা গ্রহণ করতেন। বলত শিগগিরই তাকে ঘরে তুলবেন। আর এ দাবি জানাতে গিয়ে শারীরিক নি’র্যা’তনের শি’কার হয়ে হাসপাতালে ঠাঁই নিতে হলো তাকে।
ভুক্তভোগী ওই তরুণী সাংবাদিকদের জানান, ইমন শুধু তার প্রতিমাসের বেতনের টাকাই নেননি, বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে তোলেন। নি’র্যা’তিতা তরুণী ‘হতদরিদ্র দিনমজুর পরিবারের মেয়ে হওয়ায় অ’ভিযুক্তদের বিরু’দ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে সাহস পাচ্ছেন না।
এ বি’ষয়ে পার্বতীপুর মডেল থা’নার ভারপ্রা’প্ত কর্মক’র্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান জানান, অ’ভিযোগ পেলে তদ’ন্ত-সা’পেক্ষে অ’ভিযুক্তদের বিরু’দ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।